চিয়া না পাতা-সহ ক্ষুদ্র চিয়াগাছ— স্বাস্থ্যের পক্ষে কোনটি বেশি উপকারী?
পুষ্টিগুণে এগিয়ে কে? গত কয়েক বছর খাবার, স্বাস্থ্য সচেতনতায় অনেকটাই বদল এসেছে। এখন অনেকেই দিন শুরু করেন চিয়া ভেজানো জল দিয়ে। কেউ চিয়া খান স্মুদিতে মিশিয়ে, কেউ আবার টক দইয়ে ভিজিয়ে। তবে ইদানীং খাদ্যতালিকায় ‘চিয়া মাইক্রোগ্রিনস’ রাখছেন কেউ কেউ। জিনিসটি আর কিছুই নয়, চিয়া জলে ভিজিয়ে রাখলে অঙ্কুরিত বীজ থেকে পাতা বেরোয়। এটি স্যালাডে মিশিয়ে খাওয়া হয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিয়ার মতো এরও গুণ কিছু কম নয়। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে চিয়া বীজের চেয়ে বেশি উপকার হয় এতে। পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক বলছেন, চিয়ায় প্রচুর ফাইবার রয়েছে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও আছে। চিয়া মাইক্রোগ্রিন্সে রয়েছে প্রচুর খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। পুষ্টিবিদ রাশি চৌধরি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োয় বলেছেন, ‘‘চিয়া মাইক্রোগ্রিন্সে চিয়া বীজের চেয়ে ১৭ গুণ বেশি পুষ্টি মেলে।মাল্টিভিটামিন খাওয়ার বদলে এটি খাওয়া ভাল।’’
চিয়া না চিয়া মাইক্রোগ্রিনস, পুষ্টিগুণে এগিয়ে কে?
চিয়া বীজে ফাইবার বেশি, মাইক্রোগ্রিন্সে তুলনামূলক কম। আবার চিয়া বীজে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মাঝারি মাত্রায় মিললেও, চিয়া পাতায় এর পরিমাণ অনেক বেশি। চিয়া বীজে শুধু ভিটামিন বি মিললেও মাইক্রোগ্রিন্সে এ, সি, ই, কে— চার রকম ভিটামিনই ভাল মাত্রায় পাওয়া যায়। তবে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আবার বীজেই বেশি মেলে।পুষ্টিবিদ বলছেন, অঙ্কুরোদগমের ফলে চিয়া মাইক্রোগ্রিন্সে ভিটামিন সি-এর মাত্রা ১৭ গুণ বেড়ে যায়। তা ছাড়া, আয়রন, জ়িঙ্ক, ক্যালশিয়াম শোষণেও তা বেশি সহায়ক।
পাতা-সহ চিয়ার গুণাগুণ
· শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট জরুরি। সেটাই প্রচুর পরিমাণে মেলে এতে। শরীর ভাল থাকে, ত্বক, চুল হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
· চিয়া বীজের মতো এতেও মেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বলে চিহ্নিত।
· ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনও যথেষ্ট মাত্রায় মেলে।
· বেশ কিছুটা প্রোটিন থাকে এতে। ফলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হতে পারে তা।
· এতে থাকা ক্লোরোফিল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে। রক্তে অক্সিজেন সংবহনেও সাহায্য করে।
· নানা রকম ভিটামিন, খনিজ, ফাইবারের উপস্থিতি শরীরে শক্তি জোগায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কী ভাবে বানাবেন?
একটি পাত্রে কাগজের ন্যাপকিন নিয়ে উপর থেকে জল স্প্রে করে দিন। ছড়িয়ে দিন চিয়া বীজ। আবার জল স্প্রে করে ঢাকা দিয়ে দিন। এই ভাবে দু’দিন অন্তর জল স্প্রে করলে চিয়া বীজ অঙ্কুরিত হবে। ৮-১০ দিন তা থেকে পাতা গজাবে। কাঁচি বা ছুরি দিয়ে পাতা কেটে নিন। স্যালাড হিসাবে এগুলি খাওয়া যায়। স্বাদের জন্য পাতিলেবুর রস বা স্যালাড ড্রেসিং ছড়িয়ে নিতে পারেন।
· নানা রকম ভিটামিন, খনিজ, ফাইবারের উপস্থিতি শরীরে শক্তি জোগায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কী ভাবে বানাবেন?
একটি পাত্রে কাগজের ন্যাপকিন নিয়ে উপর থেকে জল স্প্রে করে দিন। ছড়িয়ে দিন চিয়া বীজ। আবার জল স্প্রে করে ঢাকা দিয়ে দিন। এই ভাবে দু’দিন অন্তর জল স্প্রে করলে চিয়া বীজ অঙ্কুরিত হবে। ৮-১০ দিন তা থেকে পাতা গজাবে। কাঁচি বা ছুরি দিয়ে পাতা কেটে নিন। স্যালাড হিসাবে এগুলি খাওয়া যায়। স্বাদের জন্য পাতিলেবুর রস বা স্যালাড ড্রেসিং ছড়িয়ে নিতে পারেন।