বৃহস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৫
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আইন-আদালত
  3. আজকের যশোর
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. গনমাধ‍্যেম
  7. চাকরি
  8. দেশজুড়ে
  9. পোর্ট থানা বেনাপোল
  10. ফিচার
  11. বাংলাদেশ
  12. বিনোদন
  13. মডেল থানা যশোর
  14. রাজনীতি
  15. শার্শা থানা

যশোরে ফের ভৈরবপাড় দখলমুক্ত করতে যৌথ অভিযান

প্রতিবেদক
Face The Jashore
অক্টোবর ১৬, ২০২৫ ১২:০৯ অপরাহ্ণ

যশোর শহরের দড়াটানার ভৈরবপাড় দখলমুক্ত করতে এবার যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে অভিযান শুরু হয়ে এখনো চলমান রয়েছে। সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিনের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অংশ নিয়েছেন যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অভিযানের সময় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সীমানা পিলার বসানো হচ্ছে। একই সঙ্গে কাটাতার দিয়ে ঘেরার কাজও চলমান রয়েছে। এর আগে পৌরসভা থেকে একের পর এক অভিযান চললেও দড়াটানার অংশ পুরোপুরি দখলমুক্ত করা যায়নি। তবে এবার কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযানের শুরুতে ভৈরব হোটেলের সামনের অংশ ভেঙে ফেলা হয়। একই সঙ্গে ব্রিজের দুই পাশের ফুটপাত ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ ক্ষুদ্র দোকানগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। পরে দলটি ভৈরব হোটেলের গা-ঘেঁষে নদীর পাড় এলাকায় যায়। সেখানে দেখা যায়, ভৈরব হোটেলসহ আশপাশের হাসপাতালগুলো সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়া প্রভাবশালীদের কেউ কেউ ভৈরবপাড়ে টং দোকান বসিয়ে জায়গা দখল করে রেখেছে। পরে ভৈরব চত্ত্বরের আশপাশের ফুটপাতের দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়। বিপরীত দিকে নদীর গা-ঘেঁষে গড়ে ওঠা রাজধানী হোটেলের সামনের অংশ ও জনি হোটেলের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হয় এবং সরকারি জায়গায় থাকা জনি হোটেলের সিঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সময় নদীর পাড়ে অবস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পরিচালিত ফরমালিনমুক্ত সবজি বিক্রির স্টলটিও ভেঙে দেওয়া হয়। উচ্ছেদের সময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই তাদের দোকান ভেঙে ফেলেছে। এতে তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। পাশাপাশি পুনর্বাসনের ব্যবস্থারও দাবি জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও কেউ কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমরা অভিযানে নেমেছি। নদীর পানির অনাবিল প্রশান্তি থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছিল। এখন জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একসঙ্গে কাজ করছে। তিনি আরও জানান, প্রথম ধাপে কাটাতার দিয়ে নদীর অংশ ঘিরে ফেলা হবে। পরবর্তীতে সেখানে গাছ লাগানো ও পৌরবাসীর জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। অভিযান সবে শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ভৈরব চত্ত্বরের বিপরীত পাশের নদীর জায়গাগুলো সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মেপে দখলমুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে তিনি সকলকে স্বেচ্ছায় নদীর জায়গা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ - আজকের যশোর