যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৫০.২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৯৯৫ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা দুই-ই কমেছে। একই সঙ্গে শূন্য পাশের কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে।
বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের প্রভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি খাতার মূল্যায়নে কঠোরতা ও যথার্থতা বজায় রাখায় ফলাফলে এই পরিবর্তন এসেছে। বোর্ড কর্মকর্তাদের ভাষায়, ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি, তাই পাসের হার কিছুটা কমেছে।’
যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় এক লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৫৬ হাজার ৫০৯ জন। বিভাগভিত্তিক হিসেবে বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছে ১৫ হাজার ৯৩১ জন, মানবিক বিভাগে ৩৪ হাজার তিনজন এবং বাণিজ্য বিভাগে ৬ হাজার ৬৭৫ জন।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ছেলে ১ হাজার ৭৭২ ও মেয়ে ১ হাজার ৬০৯ জন, মানবিক বিভাগে ছেলে ৫৪৪ ও মেয়ে ১ হাজার ৬৩৫ জন এবং বাণিজ্য বিভাগে ছেলে ১৬৪ ও মেয়ে ২৭১ জন রয়েছে।
গত বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৪.২৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৭৪৯ জন। এ বছর শূন্য পাশের কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০টিতে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আব্দুল মতিন বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কিছুটা ঘাটতি ছিল। আমরা খাতার যথার্থ মূল্যায়ন করেছি এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা পরিহার করেছি। তাই পাসের হার কমেছে।’
তিনি আরও জানান, শূন্য পাশের কলেজগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আসমা বেগম বলেন, ‘এ বছরের ফলাফল নিয়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। তবে শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মেধাবীদের খুঁজে বের করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’