( ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি )যশোরের শার্শা উপজেলায় নিখোঁজ হওয়া এক ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১০ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে শার্শা থানাধীন নাভারণ এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ (২৬) নামে এক ভ্যানচালক নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নিখোঁজের পরদিন আব্দুল্লাহর পিতা ইউনুস আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় জিডি করে।
পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই অলক কুমার দে (পিপিএম) এর নেতৃত্বে গঠিত একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ও পুলিশি কৌশল ব্যবহার করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে আব্দুল্লাহর ভ্যানটি ঝিকরগাছা এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে মো. আশানুর (৩৩), মুকুল (৩৭) ও সাগর (২৪) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৪ অক্টোবর শার্শার কাজীরবেড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ট্রাংক থেকে আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভবনটি আশানুরের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং মালিক সুমন নামের একজন।
পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুকুলের পরিকল্পনায় ১০ অক্টোবর রাতে আশানুর, সাগর ও ভিকটিম আব্দুল্লাহ ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে মুকুল নিজেও সেখানে আসে। সবাই মাদকদ্রব্য ইয়াবা সেবনের পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মুকুল ধারালো ছুরি দিয়ে আব্দুল্লাহকে কোপ মেরে হত্যা করে। এরপর মরদেহ ট্রাংকের ভিতরে লুকিয়ে বাইরে থেকে গেট আটকে রাখা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, আশানুরের হাফ প্যান্ট, ট্রাংক ও ভিকটিমের ভ্যান উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।