শনিবার , ২৬ আগস্ট ২০২৩
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আইন-আদালত
  3. আজকের যশোর
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. গনমাধ‍্যেম
  7. চাকরি
  8. দেশজুড়ে
  9. পোর্ট থানা বেনাপোল
  10. ফিচার
  11. বাংলাদেশ
  12. বিনোদন
  13. মডেল থানা যশোর
  14. রাজনীতি
  15. শার্শা থানা

হাঁসের মাংস নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাংচুর-মারপিটে বন্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁ

প্রতিবেদক
Face The Jashore
আগস্ট ২৬, ২০২৩ ৩:২০ অপরাহ্ণ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে হাঁসের মাংস নিয়ে দ্বন্দ্বে রেস্তোরাঁর কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোটর শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে তাজির উদ্দিন গ্রান্ড হোটেলে ভাংচুর চালান বলেও জানা গেছে। এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সৈয়দপুরে সব হোটেল-রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আহত হোটেল শ্রমিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাইক্রো, জিপ, পিকআপভ্যান শ্রমিকদের সৈয়দপুর উপকমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ বেশ কয়েকজন গত রাতে ভাত খেতে হোটেলে আসেন। এ সময় তারা হাঁসের মাংস চাইলে তা দেয়া হয়। পরে তারা গরুর মাংসও খান। কিন্তু বিল দিতে গিয়ে তারা হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় তারা দাবি করেন হাঁস বলে মুরগির মাংস দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে হোটেল মালিক তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে হঠাৎ তারা হোটেল কর্মীদের পেটাতে থাকে। এক পর্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে হোটেল মালিক উভয়ের মধ্যে হাত মিলিয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেন।

তিনি আরও জানান, মোটর শ্রমিকরা সেখান থেকে চলে গিয়ে আবারও সংঘবদ্ধভাবে ফিরে এসে হোটেলে ভাংচুর শুরু করে। এ সময় হোটেল কর্মীদেরও আরেক দফা মারপিট করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন হোটেল কর্মী আহত হন। ক্ষতি হয় হেটেলের প্রায় কয়েক লাখ টাকার।

হোটেল মালিক আতিয়ার রহমান বলেন, সবাই চেনাজানা। মাংস খাওয়া নিয়ে এমন ঘটনা ঘটবে তা কল্পনা করতে পারিনি।

এদিকে রাতেই হোটেল শ্রমিক এবং মালিক সমিতি হামলা ও ভাংচুরে জড়িত মোটর শ্রমিকদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। বিচার না হওয়া পর্যন্ত সৈয়দপুর উপজেলার সব হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ ঘোষণা করেছেন তারা।

বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি সৈয়দপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রী সখেন ঘোষ বলেন, মোটর শ্রমিকদের কতিপয় সদস্য প্রায় সময় হোটেলে খেতে এসে কর্মীদের মারধর করেন। এরআগেও বেশ কয়েকবার হোটেল কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এবার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা হোটেল খুলবো না।

এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টির সমাধানে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দ্রুত সময়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করা হবে।

সর্বশেষ - আজকের যশোর